‘ওলো ‘, নামের এক নতুন রংয়ের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা মার্কিন মুলুকে বিজ্ঞানীদের এই সন্ধান সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে মূলত একটি সায়েন্স জার্নালের এক বিশেষ গবেষণা পত্রে শুক্রবার এটি প্রকাশিত হয়। সাধারণত মানুষের চোখের যেটি স্বাভাবিক পরিসীমায় ধরা পড়ে না এবং এটি নামকরণ করা হয়েছে ওলো (olo)।
বিজ্ঞানীরা এই নতুন রং আবিষ্কারের পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন “oz “
আমাদের চোখের মূলত দুই রকমের কোষ থাকে একটিকে বলে rod কোষ আরেকটি বলে কোণ কোষ। rod কোষ মূলত রাতের বেলায় দেখতে আমাদের সাহায্য করে অন্যদিকে রেটিনায় থাকা কোন কোষের তিন ধরনের কোষ থাকে যা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যএর দূরত্ব অনুযায়ী হয়ে থাকে। লঙ, মিডিয়াম, আর শর্ট। যা আমাদের চোখের লাল,সবুজ আর নীল রঙ এর প্রতিফলনে তৈরি ও আমাদের মস্তিস্ক এই রঙের সাহায্যেই অন্যান্য সব রংকে আলাদা করতে পারে কিন্তু মজার ঘটনা হচ্ছে এই প্রত্যেকটি কোন কোষ একে অপরের সাহায্য নিয়ে কাজ করে তাই যেকোনো একটি কোণ কোষ কে কাজ করানো অন্যটিকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় রেখে যা সত্যি অসম্ভব।
কিন্তু বিজ্ঞানীদের এডভান্স লেসার টেকনোলজি এবং আই ট্রাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে গবেষকরা শুধুমাত্র মিডিয়াম অর্থাৎ মধ্য তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সবুজ আলোকে উদ্দীপিত করতে সক্ষম হয়েছেন অন্য কোন রঙের কোন কোষ ছাড়াই আর যার ফলশ্রুতি হিসেবে উঠে এসেছে এই নতুন রংটি নাম “olo “
বলেছেন এই রংটি খানিকটা সবুজ ও নীলের মাঝামাঝি এক রঙের মত খানিকটা ময়ূরের গলার কাছে যে নীলচে সবুজ রংটি থাকে তার মত।
তবে এই রংটিকে খালি চোখে দেখা একেবারেই সম্ভব না তাই যাদের উপরে এডভান্স লেসার টেকনোলজি, ও আই ট্র্যাকিং সিস্টেম এর মাধ্যমে এম অর্থাৎ মিডিয়াম সবুজ বর্ণের কোন কোষটি কে উদ্দীপিত করা গেছে তারাই একমাত্র এই রংটি প্রত্যক্ষ করেছেন বর্তমানে এই রংটি প্রত্যক্ষ করার মানুষজনের সংখ্যা হল মাত্র ৫।
তবে আসার কথা এই যে আগামী দিনের ভিশন সাইন্স এর গবেষণার অনেক পথ এর মাধ্যমে খুলে যাবে ও হয়তো আমাদের ছোটবেলায় পড়া বেণীআসহকলা এই রঙের বাইরে ও আরো অনেক রং আবিষ্কৃত হবে যা আমাদের কাছে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

