এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সকাল ন’টা নাগাদ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন। প্রতিবারের মতোই এবার ও প্রতিটি জেলার জয়জয়কার কলকাতা এর চেয়ে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে পাসের হার্ ছিল ৮৬. ৩১ শতাংশ সেই হার বেড়ে এবার হয়েছে ৮৬.৫৬ শতাংশ। সর্বমোট তিনটি জেলা পাসের হারে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে।
সেগুলি হল যতক্ষণে পূর্ব মেদিনীপুর এই জেলা থেকে এবার পাস করেছে ৯৬.৪৬ শতাংশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শৈল শহর কালিম্পং এই জেলায় পাসের হার ৯৬.০৯ শতাংশ ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা ৯৩.২০ শতাংশ।
তবে এবার প্রথম দশ জনের মেধা তালিকায় রয়েছেন তার মধ্যে কলকাতার একজন বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় সে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে আদৃত সরকার তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬ । শুধু পড়াশোনা নয় খেলাধুল া ও সাহিত্যচর্চার দিকেও তার বেশ ঝোঁক আছে। আদ্রিতের গৃহ শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১২ জন এবং সে দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা পড়াশোনা করত।
মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন অনুভব বিশ্বাস ও সৌম্য পাল, দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।
সৌম্য পাল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের ছাত্র।
ও অনুভব বিশ্বাস রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির মালদাহের ছাত্র।
অন্যদিকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিকের মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ঈশানী চক্রবর্তী তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩ । ঈশানী বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
মেধা তালিকায় ঈশানী চক্রবর্তী রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান দখল করেছে সেই জেলা ছাত্ররা মোঃ সেলিম পূর্ব বর্ধমান নিরল উচ্চ বিদ্যালয় ও সুপ্রতিক মান্না কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউট। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।
মাধ্যমিকের পঞ্চম স্থান দখল করেছেন চারজন গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউট হুগলি,, চৌধুরী মোহাম্মদ আসিফ
কামারপুকুর আর কে মিশন মাল্টিপারপাস স্কুল। দীপ্ত জিৎ ঘোষ এটা চলে আসে নারায়ন ইনস্টিটিউশন হুগলি।
সোমতীর্থ করণ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়। প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।
পাঁচজন, ষষ্ঠ স্থানে প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
সপ্তম স্থানে পাঁচজন প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
অষ্টম শ্রেণি ১৬ জন প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
৬৮৭ নম্বর পেয়ে নবম স্থানে আছেন ১৪ জন।
ও ৬৮৬ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে আছেন ষোল জন পরীক্ষার্থী।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় প্রতিবছরের মতোই এবছর ও বেশি ছিল।
ছাত্রদের সংখ্যা ছাত্রীদের তুলনায় প্রায় ২৭ .২৬ % কম। যেখানে ছেলেদের সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮১ জন সেখানে মেয়েদের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৪৪ জন।
তুলনায় সব মিলিয়ে ৫৬ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এবারের মাধ্যমিকে ফেলের সংখ্যা আগের বছরকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবারে মাধ্যমিকে ফেলের সংখ্যা হল ১২২৭৯৫ জন।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিরা মানুষ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে ১০৬৫৯ জন।
৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে ২৫৮২০ জন।
৬০ থেকে৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ৯১২৩৭ জন।
ও ৬০ শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছে ১,২৭৭১৬ জন।
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ দের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি তার এক্স হ্যান্ডেল এ জানান।
“যে তোমাদের জীবনের এই স্মরণীয় দিনে আমি তোমাদের বাবা-মা অভিভাবক অভিভাবিকা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই তাদের সমর্থন ও পথ নির্দেশই তোমাদের এই সাফল্যকে সম্ভব করে তুলেছে।
তাদের জন্য তিনি বার্তা দিয়েছেন তিনি বলেছেন আর যারা ফল ভালো করতে পারেনি তাদের বলব হতাশ হয়না চেষ্টা করো আগামী দিনের সাফল্য আসবেই তোমাদের সকলকে আরো একবার আমার প্রাণ ভরা আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানাই সকলে ভালো থেকো।”
আরো পড়ুন।
উচ্চ মাধ্যমিক এর রেজাল্ট এর দিন ঘোষণা করল

