ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রথম লাতিন আমেরিকান পোপ ফ্রান্সিস প্রয়াত হলেন ৮৮ বছর বয়সে।

রোমান ক্যাথলিক গির্জায় প্রধান পোপ ফ্রান্সিস সকাল ৭ টা ৩৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে তাকে খুব একটা দেখা যেত না জনসাধারণের সম্মুখে আসতে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি হসপিটালে ভর্তি করা হয় তার পরে পরেই তিনি ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন এক এক করে শরীরের অঙ্গ খারাপ হতে থাকে কিডনি ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু করে তবে কিছুদিন যাব তার শরীরটা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। শেষ তিনি জনসম্মুখে আসেন ইফতার উপলক্ষে থেকে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন ও বলেন গাজায় ও সমগ্র বিশ্বে যে যুদ্ধের আবরণ তৈরি হয়েছে তা বন্ধ হওয়া উচিত।

আর্জেন্টিনা জাত এই মানুষটি ১৩ই মার্চ ২০১৩ সালে প্রথম লাতিন আমেরিকা থেকে হওয়া পোপের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি আজীবন শান্তির পথ ও বিশ্ব শান্তির জন্য কথা বলে গেছেন। করোনার সময় থেকে শুরু করে সারা বিশ্বব্যাপী যখন কোনো না কোনো বিপদের সম্মুখীন হয়েছে তখনই তিনি জানিয়েছেন তার বাণী সমস্ত মানুষজনের মনে তিনি শুধুমাত্র ক্যাথলিক পোপ ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক উচ্চতর মানবতার নিদর্শন।

রীতি অনুযায়ী সমস্ত পোপ দের সমাধিস্থ করা হয় সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় তবে এর ক্ষেত্রে নিয়মের খানিকটা ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের ইচ্ছা অনুযায়ী তার কফিন চিরস্থায়িত থাকবে রোমের সেন্ট মারিয়া ব্যাসিলিকায় ।

তার এই মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি তার এক্স হান্ডেলে জানান, পোপ ফ্রান্সিস এর প্রয়াণে আমরা শোকাহত এই কঠিন সময়ে ক্যাথলিক সম্প্রদায়কে সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলেনি জানান, ‘ তার সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল অনেক কঠিন সময় পুপের বাণী আমাকে অনেক শক্তি দিয়েছে’ এছাড়াও ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘পোপ ফ্রান্সিস এর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’

  • এখন প্রশ্ন হল নতুন পোপ কবে হবে তবে অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে যে কিভাবে পোপ এর নির্বাচন হয় বা বাছাই প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
    সাধারণত প্রয়াত পোপ এর মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া।
  • কার্ডিনালরা কনক্লেভের আয়োজন করেন সেখানে আসা ব্যক্তি যারা ভোট দিতে পারবেন তাদের বয়স অবশ্যই ৮০ বছরের নিচে হতে হয়।
  • দুই তৃতীয়াংশ ভোট না পাওয়া পর্যন্ত এই ভোট প্রক্রিয়া চলতে থাকে এবং গণনার পর পুড়িয়ে দেয়া হয় ব্যালট তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ ভোট সম্পূর্ণ হচ্ছে ততক্ষণ এই ভোট প্রক্রিয়া একাধিকবার চলতে থাকে।
  • মজার বিষয় হল এই ওপের নাম যদি ঠিক হয়ে যায় তবে ভ্যাটিকান সিটি র চ্যাপেল থেকে সাদা ধোয়া বের হতে থাকে। ফলাফল যদি অমীমাংসিত হয় তাহলে বের হয় কালো ধোয়া।

  • নির্বাচিত ব্যক্তিকে তার এই কাজের সম্পর্কে ওয়াকিবহল করানো হয় ও জানতে চাওয়া হয় তিনি এই সমগ্র ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের পক্ষ হবার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কিনা। তিনি রাজি হলে তার নতুন নাম দেওয়া হয় । এরপর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে পোপ এর নাম ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *