মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায়, কমপক্ষে ২৮ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। 2019 সালে ৩৭০ নম্বর ধারা অবলুপ্তির পর এইরকম বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটালো কোন জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স আই এস আইয়ের মদতপুষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবা।
সময় তখন প্রায় দুপুর ১.৩০ ছবির মত সুন্দর গ্রাম পেহেলগাতে তখন থিক থিক করছে পর্যটক দল। সুন্দর সবুজ গালিচায় মিঠে রোদকে সঙ্গে করে হাসিঠাট্টা হালকা মেজাজে সবাই যখন ভূস্বর্গ কে প্রাণ ভরে উপভোগ করছেন ঠিক তখনই একদল জঙ্গির ঠান্ডা খুনে মেজাজে প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চললো।
তখন ভূস্বর্গে নরকের চিৎকার।
স্বজন হারাদের কান্না কিংবা সদ্য বিবাহিত হওয়া দম্পতি, বেছে বেছে খুন করা হলো পুরুষ দের কে। মেয়েদের কে বলা হলো ” যা মোদী কে গিয়ে বল “
হ্যাঁ ঠিক এতটাই নৃশংস ছিল এই নারকীয় হত্যাকান্ড।
স্থানীয়দের সহায়তায় আহত হওয়া পর্যটকদের সাথে সাথেই কাছের একটি হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। সেনাবাহিনী তৎক্ষণাৎ সমস্ত জায়গা দখল করে ও পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসে। জায়গা কর্ডন করে চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো জঙ্গি ধরা পড়েনি এই ঘটনা।
এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড কাকতালীয়ভাবে মিলে গেল তখনই যখন দেখা গেল পাকিস্তান আর্মির প্রধান কড়া ভাষায় ভারতবর্ষকে তুলোধোনা করলেন আর সাথে সাথে এটা উল্লেখযোগ্য বিষয় যে ইউএস ভাইস প্রেসিডেন্ট চার দিনের ভারত সফরে এসেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী মোদি সৌদি আরবে পৌঁছেছিলেন ইসলামিক রাষ্ট্র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে।
যারা বেঁচে ফিরেছেন সেই সমস্ত পর্যটকেরা বললেন, আতঙ্কবাদীরা সেনাবাহিনীর পোশাক পড়েছিল এবং তারা জিজ্ঞাসা করছিল তারা কি ধর্মের এবং তাদের ইসলামিক verses পাঠ করতে বলা হচ্ছিল। এবং তার পরেই তারা পয়েন্ট ব্ল্যাংক থেকে গুলি করে মানুষ জনকে মারছিল।
আতঙ্কবাদীরা যে দেশে সমস্ত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে জিহাদ ঘোষণা করে সাম্প্রদায়িকাকে তাকে উস্কে দিয়ে গেল তা আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এক কঠিন বাস্তবের সামনে দাঁড় করালো।
এই ঘটনা মনে করায় 2000 সালে হয়ে যাওয়া এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা যেখানে এই কাশ্মীরে অনন্ত নাগে ই প্রায় ৩৬ জন শিখ মানুষকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার এক্স হ্যান্ডেল মৃত পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বলেন আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি, যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কাউকেই কোনো রকম ভাবে রেয়াত করা হবে না।
গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই জম্মু কাশ্মীরের রওনা দিয়েছেন যাতে তিনি সমস্ত ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন, ও সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম হন।
সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে সমস্ত আহতদের চিকিৎসায় কোন রকম ত্রুটি রাখা হবে না ও যারা স্বজন প্রয়োজন হারালেন তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করা হবে।


sotti ei rkm hottakando ar newa jacche na.
[…] হল পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাতাসে বারুদের গন্ধ, লাশ পড়ে ভূস্বর্গ… ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রথম লাতিন […]